২৪ ফেব্রুয়ারি। দুপুর শেষ হয়ে বিকালের পথে হাঁটছে। চারদিকে বসন্তের মৃদু হাওয়া বইছে। হুট করে ডাক্তাদের আনাগোনা বাড়ছে অমর একুশে বই মেলায়। এদিকে বই উন্মোচন মঞ্চে একের পর এক নতুন বইয়ের প্রকাশনা উৎসব চলছে।
ঘড়িতে তখন প্রায় চারটা ছুঁই ছুঁই। মঞ্চে এলেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুক্তিযোদ্ধা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আইপিডিআই এর সভাপতি প্রফেসর ডা: আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। একে একে যোগ দিলেন অধ্যাপক ডা. মাহবুব আলী, অধ্যাপক ডা. নাজির আহমেদ চৌধুরী, প্রফেসর এইচ আই লুৎফর রহমান, ডা. বনিতা শ্যাম প্রিয়া এবং রেনাটা লিমিটেডের মার্কেটিং ম্যানেজার আল ইসতিয়াক উর রহমানসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দিয়ে সঞ্চালনা করেন আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. মহসীন আহমদ। তিনি বলেন, ‘‘চিকিৎসা পেশায় যারা কাজ করেন তাদের মননবিকাশের লক্ষ্যে আইপিডিআই প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আসছে। হৃরোগ বিশেষজ্ঞদের লেখা কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণ কাহিনি, ফটোগ্রাফি এবং চিত্রকর্ম নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘হার্দিক’। এ প্রকাশনায় সার্বিক সহযোগিতা করেছে রেনাটা লিমিটেড। তারা তাদের লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ সিএসআর খাতে ব্যায় করে।’’
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এরপর কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. নাজির আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের সময় আমি কাদেরিয়া বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলাম। যুদ্ধের সেই স্মৃতি বিজড়িত সময় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমার লেখায়।’
তারপর প্রধান অতিথি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি জানতাম ডাক্তারদের হৃদয় থাকে না। তবে এখানে এসে আর তা মনে হচ্ছে না। এখানে সাহিত্যের অনেকগুলো মাধ্যমের কাজ আছে। মুক্তিযুদ্ধেরও অভিজ্ঞতাও লিখেছেন একজন। আমারও অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। আমি ডা. বনিতা শ্যাম প্রিয়া’র কবিতা ‘হৃদয় যন্ত্রণা’ থেকে কয়েক পংক্তি পাঠ করে শেষ করছি। ‘‘হৃদয়ে যন্ত্রণার ওষুধ আছে,/ যখন হৃদয় নিজেই একটা যন্ত্রনা,/তখন কী আর করা!’’
আল ইসতিয়াক উর রহমান বলেন, ‘এটি একটি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ। ডাক্তারদের লেখা কবিতা, ছোটগল্প, ছবি এবং চিত্রকলা স্থান পেয়েছে সংকলনটিতে। এ ধরনের সৃজনশীল কাজের সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। এ ধরণের প্রকাশনা করার জন্য আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের সবাইকে ধন্যবাদ।’
‘হার্দিক’ বইটির সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক ডা. মহসীন আহমদ এবং ডা. শিবলী শাহেদ।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিল রেনাটা লিমিটেড।