কার্ডিওলজি ডেস্ক
তবে নারীর তুলনায় এ রোগে আক্রন্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে পুরুষের। তাদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হৃদরোগের প্রধান লক্ষণ। অন্যদিকে নারী হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণটি অনেক সময় দেখা যায় না।
এজন্য অনেকে মনে করেন যে নারীরা হৃদরোগে আক্রান্ত হয় না। এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। নারীরাও হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে তাদের হৃদরোগের লক্ষণগুলো পুরুষদের থেকে আলাদা হতে পারে। চলুন জেনে নেই নারীর হৃদরোগের লক্ষণগুলোয় কি কি পরিবর্তন দেখা যায়।
বুকে অস্বস্তি বা চাপ অনুভূত হওয়া
আমরা জানি নারীদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথার লক্ষণটি নাও হতে পারে। তাদের ক্ষেত্রে বুকে চাপ, ভারীভাব, জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট হওয়া
হৃদরোগের আরেকটি সাধারণ লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট। নারীদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণটি হালকা হতে পারে। তবে হাঁটার সময় বা পরিশ্রমের সময় বৃদ্ধি পেতে পারে শ্বাসকষ্ট। তাহেলে বুঝতে হবে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ছে।
অত্যধিক ঘাম হওয়া
নারী নিত্যপ্রয়োজনে অনেক পরিশ্রমী। সংসার এবং সন্তানের জন্য তাকে নানান কাজ প্রতিনিয়ত করতে হয়। অনেক নারী হৃদরোগের আক্রমণের সময় অত্যধিক ঘাম অনুভব করেন।
অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভব
অল্পতে ক্লান্ত বোধ করাও হৃদরোগের আক্রান্তের লক্ষণ। সাধারণ কর্ম প্রক্রিয়ায় অনেক নারী হৃদরোগের আক্রমণের আগে অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভব করেন।
বমি বমি ভাব বা বমি
কোনকিছু খেতে গেলেই বমি বমি ভাব হওয়া এক ধরণের অস্বস্তি তৈরি করে। নারীর ক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্তের সময় অনেকে বমি বা বমি বমি ভাব অনুভব করেন।
মাথাব্যথা হওয়া
নারীর হৃদরোগের লক্ষণে মাথাব্যথা খুবই গুরুত্ব রাখে। কেননা হৃদরোগের আক্রমণের অনেক সময় নারী মাথাব্যথা অনুভব করেন।
চোয়াল, ঘাড় বা বাহুতে ব্যথা
নারী হৃদরোগে আক্রান্ত হলে চোয়াল, ঘাড় এবং বাহুতে ব্যথা অনুভব হতে পারেন।
উদ্বেগ বেশি হওয়া
অতিরিক্ত উদ্বেগ যদিও মানসিক সমস্যা হিসেবে বেশি চিহ্নিত করা হয়। তবে নারীর ক্ষেত্রে এ লক্ষণটিকেও হৃদরোগের আক্রমণ হিসেবে দেখা হয়।
লক্ষ্য রাখবেন যেসব বিষয়
এই লক্ষণগুলো সবসময় যে হৃদরোগের জন্যই দেখা দিবে এমন নাও হতে পারে। অন্যান্য অনেক শারীরিক সমস্যায়ও এই লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে। যদি আপনি এই লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনটি অনুভব করেন তাহলে দ্রুত একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
নারীদের হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ। যার ফলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণে সুবিধা হবে এবং জীবন রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।