সুস্থ হৃদযন্ত্রের জন্য বাদাম অত্যন্ত উপকারী। কেননা বাদামে থাকে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, ফাইবার, সেলেনিয়াম, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যে উপাদানগুলি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
বাদাম নিয়মিত খেলে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারীতা বৃদ্ধি এবং ক্যান্সারের মতো রোগও দূরে রাখতে সাহায্য করে বাদাম। এছাড়াও, বাদামের গুণাগুণ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং ত্বকের নতুন কোষসহ অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা বজায় রাখে।
বাদামে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ অনেক উপাদান। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং রোগে আক্রান্ত হলে তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
বাদাম শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে মোট এবং এলডিএল কোলেস্টেরল উভয়ই কমায়। যার কারণে বাদাম একসঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
সব মিলিয়ে, বাদাম হল একটি পুষ্টিকর খাবার যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় অপরিহার্য। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বাদাম অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
২০১৩ সালের এক গবেষণা করা হয়, পুরুষ এবং মহিলা পেশাজীবীদের মধ্যে সাপ্তাহিক বাদাম গ্রহণের হার নিয়ে। তারা ১৭৩,০০০ জন মানুষের উপর ৩০ বছর ধরে গবেষনা করেছেন। তাদের খাদ্যাভ্যাসে বাদামেরে এই সংযোজন দিন অনুসারে ভাগ করেছেন তারা।
দেখা গেছে যে যারা বাদাম খেয়েছেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার চিহ্নিতভাবে কমে গেছে। তারা আরও দেখেছেন যে বাদামের উপকারিতা ডোজ-নির্ভর। অর্থাৎ মানুষ যত বেশি বাদাম খাবে প্রতি সপ্তাহে, তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনা তত কম হবে। যারা খুব কম বাদাম খেয়েছেন তাদের তুলনায়, যারা সপ্তাহে একবার বাদাম খেয়েছেন তাদের মৃত্যুর হার কমেছে ১১ শতাংশ এবং প্রতিদিন বাদাম খেয়েছেন যারা তাদের মৃত্যুর হার কমেছে ২০ শতাংশ।