Congenital heart disease
Featured Health & Wellness

শিশুদের জন্মগত হৃদরোগ (CHD): লক্ষণ ও প্রাথমিক সনাক্তকরণের গুরুত্ব

Congenital heart disease@2x

অন্না তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তার জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই তার বাবা মা লক্ষ্য করল যে তাদের নবজাতক অন্য শিশুদের মতো সুস্থ নয়। সে খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ত এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হতো। চিকিৎসকের পরীক্ষায় জানা গেল অন্না জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত। এই রোগের কারণে শিশুরা প্রায়ই ক্লান্ত বোধ করে এবং শ্বাস নিতে কষ্ট পায়। অন্নার মতো অন্যান্য শিশুদের জন্য এই রোগের লক্ষণগুলি চিনতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

জন্মগত হৃদয় রোগ (CHDs) হল একটি ধরনের রোগ যা শিশুর জন্মের সময় উপস্থিত থাকে এবং হৃদয়ের গঠন বা কার্যকারিতায় সমস্যা সৃষ্টি করে। এই রোগের কারণে হৃদয়ের চেম্বার, ভালভ বা রক্তবাহী নলীগুলি সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারে না। ফলে হৃদয়ের কাজ করার উপায়ে পরিবর্তন হয় এবং শরীরে রক্ত সরবরাহ করতে সমস্যা হতে পারে। এ রোগটির লক্ষণগুলি আগে থেকেই চিহ্নিত করতে পারলে এর ব্যবস্থাপনা ও ফলাফল উন্নত করা সম্ভব। নিম্নলিখিত লক্ষণগুলির প্রতি নজর দিণ;

কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজ লক্ষণ সমূনঃ

১. ফ্যাকাশে বা নীল ঠোঁট: কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজের একটি প্রাথমিক লক্ষণ হল শিশুর ঠোঁটের রঙ পরিবর্তিত হওয়া। যদি ঠোঁট ফ্যাকাশে বা নীল হয়ে যায়, তাহলে এটি নির্দেশ করতে পারে যে হৃদয় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সঠিকভাবে সঞ্চারিত হচ্ছে না।

২. দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস: কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত শিশুদের দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে দেখা যায়। যদি শিশু বিশ্রাম বা খাওয়ার সময় অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত শ্বাস নিতে থাকে তাহলে এটি হৃদয়ের সক্ষমতা সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।

৩. ফোলাভাব: শিশুর পা, পেট, বা চোখের চারপাশে ফোলাভাব লক্ষ্য করুন। হৃদয় যদি রক্ত সঞ্চালনে অক্ষম হয় তাহলে এই অঞ্চলে তরল সঞ্চিত হয়ে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে।

৪. খাওয়ার সময় সমস্যা: একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল শিশুর খাওয়ার সময় সমস্যা। যদি শিশু খাওয়ার সময় শ্বাস নিতে সমস্যায় পড়ে বা অত্যধিক ক্লান্ত হয়ে যায় এটি হৃদয়ের সমস্যার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।

কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করার সময় প্রাথমিক সনাক্তকরণ ও দ্রুত চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি গুরুতর পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া যদিও ভীতিকর, লক্ষণগুলি বুঝতে পারলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি উন্নত করা সম্ভব।