Cholesterol
Featured Health & Wellness

ডিসলিপিডেমিয়া: কোলেস্টেরলের অস্বাভাবিক মাত্রা ও এর প্রতিকার

Cholesterol

Cholesterol

কোলেস্টেরল সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলেই কম-বেশি জানি। এটি এমন একটি পদার্থ যা আমাদের দেহে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে, তবে এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোলেস্টেরল তিন প্রকারের হয়ে থাকে: LDL, HDL, এবং Triglyceride। এই তিনটি উপাদানের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে না পারলে, শরীরে কোলেস্টেরলের অস্বাভাবিক মাত্রা দেখা দিতে পারে, যা ডিসলিপিডেমিয়া নামে পরিচিত। এই অবস্থা শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ এটি রক্তে ক্ষতিকারক LDL (Bad cholesterol) এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং উপকারী HDL (Good cholesterol) এর মাত্রা কমিয়ে দেয়।

ডিসলিপিডেমিয়ার কারণ

ডিসলিপিডেমিয়া হওয়ার ঝুঁকি বিভিন্ন কারণে বাড়তে পারে। এই ঝুঁকি বাড়ানোর কিছু সাধারণ কারণ হলো:

  1. ধূমপান: ধূমপানের কারণে শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় এবং উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।
  2. অতিরিক্ত ওজন এবং অলস জীবনযাপন: ওজন বেড়ে গেলে এবং অলস জীবনযাপনের কারণে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
  3. অনেক তৈলাক্ত খাবার খাওয়া: অত্যধিক তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে Triglyceride এবং LDL এর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
  4. টাইপ-২ ডায়াবেটিস: টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে ডিসলিপিডেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, কারণ ডায়াবেটিস শরীরে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলে।
  5. হাইপোথাইরয়েডিজম: থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতির কারণে ডিসলিপিডেমিয়া হতে পারে, কারণ এটি শরীরের বিপাকীয় কার্যক্রমকে ধীর করে দেয়।
  6. ক্রনিক কিডনি ডিজিজ: কিডনির সমস্যার কারণে শরীরে কোলেস্টেরল প্রক্রিয়াজাত করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে, যার ফলে ডিসলিপিডেমিয়া দেখা দিতে পারে।

কীভাবে ডিসলিপিডেমিয়ার ঝুঁকি কমানো যায়

ডিসলিপিডেমিয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। ধূমপান পরিহার করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা করা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, যদি আপনার টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, বা ক্রনিক কিডনি ডিজিজ থাকে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলা উচিত।

ডিসলিপিডেমিয়া একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা, তবে সতর্কতা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে আপনি এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হয়ে সচেতন থাকলে, এই সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব।