এনজিওগ্রাম (CAG) ও এনজিওপ্লাস্টি (Ring) কি এবং কেন?
১। ইহা হার্টের রক্তনালী ব্লকের একটি নিশ্চিত পরীক্ষা, যাহার মাধ্যমে হার্টের রক্তনালী বন্ধের প্রকারভেদ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বোঝা যায়।
২। ইহা অজ্ঞান না করে হাতের বা পায়ের রক্তনালী দিয়ে খুবই সামান্য ব্যাথায় সম্পন্ন করা হয় এবং এক দিন হাসপাতালে থেকে অথবা ঐ দিনই বাসায় যাওয়া যায়।
৩। এনজিওগ্রাম ছাড়া ব্লকের পারসেনটেজ (%) বা কয়টা ব্লক আছে তাহা বুঝা যায় না।
৪। হার্ট এ্যাটাক বা এ্যাটাকের মত হলে অথবা E.T.T পরীক্ষাটি পজেটিভ হলে হার্টের রক্তনালীর ব্লক থাকার সম্ভবনা খুবই বেশি তাই এই এনজিওগ্রাম পরীক্ষাটি অত্যাবশ্যক।
৫। এই পরীক্ষাটি করা হয় মূলত রক্তনালীর ব্লক দূর করার চিকিৎসা পদ্ধতি নিরূপনের জন্য, যেমন-মেডিসিন চিকিৎসা, এনজিওপ্লাস্টি (রিং লাগানো) অথবা বাইপাস সার্জারী।
৬। হার্টের রক্তনালীর ব্লক ঔষধের মাধ্যমে দূর করা যায় না, তবে ব্লকের উপসর্গ কিছুটা অস্থায়ী ভাবে প্রশমিত করে।
৭। এই পরীক্ষাটি কিছুটা ব্যয়বহুল কিন্তু তেমন ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
৮। এই পরীক্ষাটির মাধ্যমে ব্লকের চিকিৎসা একসাথে বা পরবর্তীতেও করা যায়।
৯। এনজিওগ্রামের সাথে এনজিওপ্লাস্টি করলে চিকিৎসার খরচ ও ঝুঁকি কিছুটা কম হয়।
১০। বুকব্যাথায় সর্বোচ্চ ১২ ঘন্টার মধ্যে কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে ঔষধ (STK/TNK) বা প্রাইমারী এনজিওপ্লাস্টি (P.PCI) করে হার্ট এ্যাটাকের মাত্রা কমানো যায়।
১১। পূর্বে এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি (রিং) বা বাইপাস করার পর বুক ব্যথা হলে অথবা ছয় মাস-এক বছর এর মধ্যে চেক এনজিওগ্রাম করা উচিত।
১২। হার্ট এ্যাটাক নীরবেও হতে পারে (Silent Heart Attack 20%) যাহা গ্যাস্টিক বলে সবাই মনে করে, যাহা ধরা পড়ে ECG ও Echo-এর মাধ্যমে।
অধ্যাপক (ডা.) অমল কুমার চৌধুরী
এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (কার্ডিওলজি) এফএসিসি (ইউএসএ), এফএসসিএআই (ইউএসএ) অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান কার্ডিওলজি বিভাগ এবং সিনিয়র ক্লিনিক্যাল এন্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও কার্ডিয়াক হাসপাতাল, ঢাকা। অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, কার্ডিওলজি বিভাগ
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, এনআইসিভিডি (প্রাক্তন), ঢাকা।